আজ , বুধবার, ২১ মে ২০২৫

রাঙ্গুনিয়ায় বিএডিসি’র অবহেলায় অনাবাদি শত হেক্টর জমি

লেখক : সাহেদুর রহমান মোরশেদ | প্রকাশ: ২০২৫-০৪-১৭ ০১:০৫:২৯

 

এম জাহাঙ্গীর নেওয়াজ, নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের মধ্য বেতাগী এলাকায় বিএডিসি  এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে দীর্ঘ এক যুগ ধরে শত হেক্টর আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। পানির অভাবে এসব জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না, ফলে বছরজুড়েই নিরুপায় কৃষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষক হাজী মমতাজ মিয়া ২০২০ সাল থেকে উদ্যোগ নিয়ে জমিগুলোতে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে আবেদন করে আসছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় ২০২৪ সালে বিএডিসি প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। কিন্তু এক বছর পার হলেও আজও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।

হাজী মমতাজ বলেন, “অনুমোদন মিললেও বিএডিসি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে কাজ এগোচ্ছে না। সেচ সুবিধার অভাবে কৃষকরা জমি পড়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।”

এ বিষয়ে মধ্য বেতাগী এলাকার সাবেক মেম্বার সাদী জানান, “প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দেশ থাকলেও রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নানা জটিলতায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি।”

স্থানীয় কৃষকদের সহায়তায় কাজ করে যাওয়া নেচার আহমদ চৌধুরী বলেন, “চলমান বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে প্রকল্পটি চালু করার পথ তৈরি হলেও বিএডিসি’র নজিরবিহীন অযোগ্যতা ও অবহেলার কারণে তা আলোর মুখ দেখছে না।”

অপর কৃষক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “সরকার অনাবাদি জমি চাষে নানা সুবিধা দিলেও মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অনেক সময় অনুপস্থিত থাকেন। তারা চাষের প্রকৃত চিত্র না তুলে ধরে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন দিয়ে সুবিধা আদায় করছেন।”

কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেও তারা কার্যকর সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ফলে দিন দিন কৃষকদের ভেতরে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।

এ বিষয়ে বিএডিসি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রকৌশলী তমাল দাশ জানান, “আমরা চেষ্টা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটি চালু করার। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।”

এদিকে, কৃষকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করে জমিগুলো চাষের আওতায় আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।