আজ , বুধবার, ২১ মে ২০২৫

হালদায় রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন: দুইজন আটক, মূল হোতা পলাতক

লেখক : সাহেদুর রহমান মোরশেদ | প্রকাশ: ২০২৫-০৪-১৬ ১৫:০৩:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হাতে নাতে আটক হয়েছেন দুই জন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত মূল হোতারা এখনো অধরা রয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের গণি মিয়ার ঘাট এলাকায় হালদা ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এই অভিযান পরিচালনা করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ।

আটক দুজন হলেন ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা মুহাম্মদ ইউসুফ ও মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তারা শ্রমিক হিসেবে বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন এবং পুলিশের একটি টিম।

সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “হালদা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন এবং তা বাল্কহেডে পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝেমধ্যে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এ ঘটনায় আটক দুজনের কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন কার্যকলাপে জড়িত না হওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “এই অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত মূল হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, হালদা নদী দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত কার্পজাতীয় মা মাছ এই নদীতে একাধিকবার ডিম ছাড়ে। এ সময় নদীতে যান্ত্রিক নৌযান চলাচল ও বালু উত্তোলনে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে।

নদীতে বালু পরিবহনকারী নৌযানের পাখার আঘাতে প্রায়ই মা মাছ ও বিরল প্রজাতির ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যা হালদার জীববৈচিত্র্য ও প্রজনন পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হালদা রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান আরও জোরদার করা হবে।