আজ , বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বাংলাদেশের মানবাধিকার ফোরাম চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে বৈশাখী আড্ডা ও ডিনার অনুষ্ঠিত

লেখক : সাহেদুর রহমান মোরশেদ | প্রকাশ: ২০২৫-০৪-১৫ ০০:৫৩:৩০

সাহেদুর রহমান মোরশেদ, চট্টগ্রাম:
বাঙালির অন্যতম বৃহৎ সার্বজনীন লোকউৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশের মানবাধিকার ফোরাম চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বর্ণিল বৈশাখী আড্ডা ও ডিনারের। ১৪ এপ্রিল বিকেলে চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারস্থ বাহার কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ফোরামের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি জিএম মাহাবুব হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মানবাধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও দৈনিক প্রথম সূর্যোদয় পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরোচিফ আকতার উদ্দিন রানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহার কনভেনশন হলের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ বাহার এবং সিনিয়র সাংবাদিক নাসির উদ্দিন রকি।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন মিঠুন, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, মোহাম্মদ লোকমান মিয়া প্রমুখ।

আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে বক্তারা বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মানবাধিকার চেতনার বিকাশে ফোরামের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

বাংলা নববর্ষের পটভূমি:

বাংলা নববর্ষ এক সময় ছিল মূলত কৃষিনির্ভর আর্তব উৎসব, যার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল ঋতুচক্র ও কৃষিকাজের। পরবর্তীতে মোঘল সম্রাট আকবরের আমলে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে হিজরি চান্দ্রসন এবং সৌরসনের সমন্বয়ে প্রবর্তিত হয় বাংলা সন।
এই দিনটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নেয় ‘হালখাতা’র মাধ্যমে, যেখানে ব্যবসায়ীরা পুরনো হিসাব শেষ করে নতুন খাতা খোলেন এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে নতুন সম্পর্ক গড়েন।

আজকাল বাংলা নববর্ষ কেবল অর্থনৈতিক উৎসব নয়, এটি হয়ে উঠেছে জাতীয় সংস্কৃতির পরিচায়ক। ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেয় সারাদেশ। ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নববর্ষের তাৎপর্য আরও বেড়ে যায়।

বাংলাদেশের মানবাধিকার ফোরামের এ আয়োজন যেন নববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে মানবিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার এক অনন্য উদ্যোগ হয়ে উঠেছে।