রাউজানে স. প্রা বিদ্যালয়ের জায়গায় অবৈধ নির্মাণাধীন স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ

রাউজানের কেয়াকদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে নুরানী মাদ্রাসা নির্মাণ ও নতুন করে নির্মাণ করা স্থাপনা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

রাউজান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও রাউজান থানার সহযোগিতায় ২০ মার্চ সকালে এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা যায়, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে স্থানীয় মৃত জহিরুল হক নামে এক ব্যক্তিসহ স্থানীয় একটি চক্র। তারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল নিয়ে কেয়কদাইর সম্মিলিত নুরানী কেজি মাদ্রাসা নামে প্রায় ছয় শতক জায়গার উপর টিনের ঘর তৈরী করেন। জায়গা দখলের পর তৈরীকৃত ঘরে নামমাত্র ছাত্র/ছাত্রী দিয়ে ক্লাস শুরু করেন।

অপরদিকে স্কুলের জায়গা উদ্ধারে আদালতে মামলা করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি এম নুরুল আবছার। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলা চলার পর আদালত কেয়াকদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের রায় থাকার পরও নুরানী মাদ্রাসাটি সরকারী স্কুলের জায়গা দখল ছাড়েনি।

সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ টিনের ঘরের পাশে স্কুলের খালি জায়গায় পাকা দালান নির্মাণ কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের মাধ্যামে খবর পেয়ে ঘটানাস্থলে পুলিশ গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ জানান, কেয়কদাইর সরকার প্রাথমিক বিদ্যলয়ে জায়গার উপর নুরানী মাদ্রাসা নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে দেখছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল কুদ্দুস জানান, স্কুলের জায়গা দখলকারীদের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসতে বলেছি। তারা এখনো পষর্ন্ত কোন দলিল দেখাতে পারেনি। স্কুলের জায়গায় কোন কেজি নুরানী করতে পারবেনা। সরকারী নিয়ম অনুসারে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন কেজি নুরানী মাদ্রাসা করা যাবে না।

কেয়কদাইর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গার উপর নুরানী মাদ্রাসা নির্মাণের ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার জানান, মৃত জহিরুল হক গং স্কুলের জায়গার উপর পাকা দালানের কাজ শুরু করলে আমি রাউজানের অভিবাবক এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপিকে অবহিত করি। তিনি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফেজ দানেশ জানান, ১৯৯৬ সালে রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে কেয়কদাইর সম্মিলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুলটি সরকারী করণ হিসাবে ঘোষনা করেন। সরকারী করণের পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে একটি স্কুল ভবণ নির্মিত হয়। বর্তমানে এই ভবণে প্রায় ২ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করা হচ্ছে।