হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী হাছান সঞ্জরী(রঃ) ওরশ শরিফে বক্তারা -ইসলামের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ তাঁকে চীরস্মরণীয় করে রেখেছে

 

রাউজানবার্তা প্রতিবেদকঃ

রাউজান হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক কলেজের উদ্যোগে হিন্দেল অলি হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী হাছান সঞ্জরী(রঃ) (খাজা বাবার) ওরশে পাক উপলক্ষে আলোচনা সভা, তকরির, মিলাদ কিয়াম মোনাজাত অনুষ্টিত হয়েছে।

(৮মার্চ) মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের মরহুম একে এম ফজলুল কবির চৌধুরী হল মিলনায়তনে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক।

প্রভাষক (জীব বিদ্যা) মুহাম্মদ মঈনুল আমিন আশিকের সঞ্চালনায় প্রধান অথিতি ছিলেন কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা এস এম বাবর।

আলোচক ছিলেন কলেজের সহকারি অধ্যাপক (বাংলা) বিকিরণ বড়ুয়া, (পৌরনীতি ও সুশাসন বিভাগের) সহকারি অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল মান্নান।

বক্তব্য প্রদান ও উপস্থিত ছিলেন সহকারি অধ্যাপক (অর্থনীতি) মুহাম্মদ বজলুর রহমান, অধ্যাপক (রসায়ন) মুহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, সিনিয়র প্রভাষক (ইংরেজী) মোঃআবদুল জাব্বার, (আইসিটি)মোঃ লোকমান সিকদার, প্রভাষক (যুক্তিবিদ্যা) নিলুফার ইয়াছমিন,(হিসাব বিজ্ঞান) হেফাজতুর রহমান, (গণীত)রীপা মুহুরী,(পদার্থ বিদ্যা) সুজাবত আলী,(ফিনেন্স ও ব্যাংকিং) জান্নাতুল কাউছার, প্রভাষক (কৃষি শিক্ষা) সাহিদা আকতার সম্পা, প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) দিলরোবা আকতার, প্রদর্শক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএড শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুস সালাম, সহ-গ্রন্থাগারিক এয়ার মুহাম্মদ, অফিস সহকারী সটু কুমার বড়ুয়া ,মুহাম্মদ আকতার, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মুহাম্মদ আবির হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ)এর অক্লান্ত কর্ম প্রচেষ্টার ফলে বঙ্গ-ভারতে ইসলামের নির্মল আদর্শ প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে রূহানী জগতের খাটি প্রজ্ঞাদাতা সূফী কুলের শিরামণি মর্দে মুজাহিদ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহঃ) এর নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়।

বক্তারা আরো বলেন একথা বাস্তাব সত্য যে তিনিই সাধক কুলের সম্রাট সুফীবৃন্দের গৌরব, তাপসগণের শিরমণি ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রনায়ক হযরত মঈনুদ্দীন চিশতী( রহঃ) বিচিত্র জীবন কাহিনী ধ্যানাপোসনার জন্য প্রেরণা দানকারী হিসাবে আমাদের নিকট খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

বক্তারা বলেন ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় ইসলামের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ তাঁকে চীরস্মরণীয় করে রেখেছে। কেননা হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলাম প্রচারে একজন ঐতিহাসিক সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় পীর হযরত খাজা উসমান হারুনীর নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে প্রায় ৯০লক্ষ লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।

এতে মিলাদ কিয়াম ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন। পরে সকলের মাঝে তাবরুক বিতরন করা হয়।