রাউজানের ডাবুয়ায় এয়াসিন শাহ নুরানী মাদ্রাসা এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে

 

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ

রাউজান উপজেলার ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের উত্তর ডাবুয়া এলাকায় হজরত এয়াসিন শাহ (রাঃ) এর মাজার রয়েছে। উত্তর ডাবুয়া এলাকার বাসিন্দারা প্রতি বৎসর হজরত এয়াসিন শাহ (রাঃ) এর বার্ষিক ওরশের আয়োজন করেন । ওরশ শরীফের জন্য এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সংগৃহিত চাদাঁর টাকা দিয়ে ওরশ আয়োজনের পর যে টাকা অবশিষ্ট থাকে এ টাকা দিয়ে ওরশ আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা ৩২ শতক জমি ক্রয় করে হজরত এয়াসিন শাহ (রাঃ) এর মাজারের সামনে একটি পাকা ভাবন, একটি সেমি পাকা ভবন নির্মান করে হজরত এয়াসিন শাহ (রাঃ) নুরানী মাদ্রাসা চালু করেন গত ২০২১ সালের জানুয়ারী মাস থেকে।

ডাবুয়া ইউনিয়নের মেম্বার ওরশ আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতি বৎসর ওরশের জন্য এলাকার বাসিন্দ্বাদের কাছ থেকে নেওয়া চাদাঁর টাকা দিয়ে ওরশ করে ওরশে আগত লোকজন এলাকার বাসিন্দ্বাদের খাওয়ানোর পর যে টাকা থাকে ঐ টাকা ও এলাকার লোকজনের সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে হজরত এয়াসিন শাহ (রাঃ) নুরানী মার্দ্রাসা।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে একশত টাকা ফি নিয়ে তিনজন শিক্ষক দিয়ে প্রতিদিন নুরানী, ১ম শ্রেণী ও ২য় শ্রেনীতে ১শত ২০ জন ক্ষুদ্বে শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে।দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ফি নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নুরানী শিক্ষা বোর্ড অনুমোধিত পাঠ্যবই নিজেদের টাকা দিয়ে ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মার্দ্রাসায় পাঠগ্রহনের জন্য পোষাক দেওয়া হয়েছে।

হজরত এয়াসিন শাহ নুরানী মার্দ্রাসার সুপার মাওলানা ইকবাল হোসেন বলেন, ১শত ২০ জন শিক্ষার্থীকে তিন জন শিক্ষক নুরানী, ১ম শ্রেণী ও ২য় শ্রেণীতে আলাদা আলাদা ভাবে পাঠদান করছে। মার্দ্রাসার চালু করার পর থেকে সরকারী কোন সহায়তা পায়নি বলে জানান মার্দ্রাসার সুপার মাওলানা ইকবাল হোসেন।