রাউজানে পিতার বসতভিটা হাতিয়ে নিয়ে পিতা মাতার ভরন পোষন করছেনা প্রবাসী পুত্র

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউুনিয়নের মাইজ্যা মিয়া ঘাটার বাসিন্দ্বা ৭০ বৎসরের বৃদ্বা বাদশা মিয়া। তার ৬৫ বৎসরের স্ত্রী রশিদাখাতুন। বৃদ্ব বাদশা মিয়া এক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী ছিলেন। বৃদ্ব বাদশা মিয়ার ৪ কন্যা সন্তান ও একমাত্র ছেলে সেকান্দর। গত ১৪ বৎসর পুর্বে বৃদ্ব ব্দাশা মিয়া প্রবাস থেকে চলে আসেন।

প্রবাসে খাকার সময়ে বাদশামিয়া তার ৪ কন্যা সন্তানকে বিয়ে দেয়। বাদশা মিয়ার একমাত্র ছেলে সেকান্দরকে লালনপালন করে বড় করার পর প্রবাসে নিয়ে য্য়া। বাদশা মিয়া প্রবাস ছেড়ে দেশে চলে আসলে ও তার ছেলে সেকান্দর মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে।

বাদশা মিয়ার ১২শতক আয়তনের বসতভিটা তার একমাত্র পুত্র সেকান্দর বাবা মাকে লালন পালন করবেন বলে বৃদ্ব বাদশা মিয়ার কাছ থেকে রেজিস্টারী করে নিয়ে নেয়।

বাদশা মিয়ার বসতভিটা রেজিষ্টারী করে সেকান্দর নিজ নামে নিয়ে নেওয়ার পর সেকান্দর তার বৃদ্ব বাবা বাদশা মিয়া বৃদ্বা মা রশিদা খাতুন কে কোন ভরন পোষন না দিয়ে সেকান্দর তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরের মধ্যে বিলাসিতা জীবন যাপন করছেন বলে অভিয্গো করেন বৃদ্বা বাদশা মিয়া।

অনাহারে অর্ধাহারে বৃদ্ব বাদশা মিয়া ওতার স্ত্রী রশিদা খাতুন মানবেতর জীবন যাপন করলে বাদশা মিয়ার বিয়ে দেওয়া চার কন্যা ও তাদের জামাতারা অর্থ ও বিভিন্ন ধরণের সহায়তা দিয়ে বৃদ্ব বাদশা মিয়া ও তার স্ত্রী রশিদা খাতিুনকে লালন পালন করছেন বলে বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন।

বাদশা মিয়ার একমাত্র ছেলে সেকান্দর বর্তমানে প্রবাস থেকে দেশে এসে ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর ব্যবসা করছেন। বৃদ্ব বাদশা মিয়া ও তার স্ত্রী রশিদা খাতুন বসতভিটা হারানোর পর নিরুপায় হয়ে ছেলে সেকান্দরের বিরুদ্বে অভিযোগ দিতে ৫ জুন বুধবার রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগজ্যাই মারমা অফিসে আসেন।

বাদশামিয়া কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, সেকান্দর আমার একমাত্র ছেলে সন্তান তাকে লালন পালন করে বড় করে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছি। আমার বসতভিটা তার নামে রেজিস্টারী করে দিয়েছি বৃদ্ব বয়সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে লালন পালন করার আশায়। বসতভিটা রেজিস্টারী করে নিয়ে ছেলে সেকান্দর আমাকে ও তার মার কোন ভরন পোষন দিচ্ছেনা। আমার ৪ কন্যা সন্তান ও তাদের জামাতারা আমাদের দুইজনকে লালন পালন করছেন ।