রাউজানে গরু চুরি করে নেওয়ার সময়ে ধরা পড়ল তিন গরু চোর

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কাজীর খীল এলাকার মৃত আবদুল ছবুর বৈদ্য এর বিধবা স্ত্রী রেহেনা বেগমের একটি ষাড় গরু গত ৩১ মে শুক্রবার রাতেই তার গোয়াল ঘর থেকে চুরি করে রেহেনা বেগমের সৎ পুত্র মনির (২৫)তার দুই সহযোগী একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আরব নগর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র ওয়াসুছ জামান (২২) আবদুল মন্নানের পুত্র মুবিন (২৩) নিয়ে যাওয়ার সময়ে রাউজানের পাহাড়ী এলাকায় কয়েকজন উপজাতি লোকজন ধরে ফেলে।

ঐসময়ে গরু চুরির সাথে জড়িত ওয়াসুছজামান ও মুবিন পালিয়ে যায়। মুবিন সহ গরুটি আটক করেন জনতা। চুরি করে নিয়ে যাওয়া গরুটি সহ গরু চোরের প্রধান হোতা মনিরকে হিংগলা এলাকার জনতার কাছে সোপর্দ করে উপজাতীয় লোকজন।

১ জুন শনিবার সকাল থেকে গরু চোর মনির কে নিয়ে গরু চুরির সাথে জড়িত ওয়াসুচ্ছজামান ও মুবিনকে আটক করে।

সকাল থেকে হিংগলা সিএনজি ষ্টেশন এলাকায় ডাবুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আসাদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজাদ সিকদার তিন গরু চোরকে নিয়ে বৈঠক বসে। ঐ সময়ে এলাকার কয়েক শত জনতা চারিদিক থেকে এসে তিন গরু চোর, দুই মেম্বারকে ঘেরা ও করে রাখে।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিন গরু চোরকে থানায় আনার জন্য গাড়ীতে তোলার সময়ে উত্তোজিত জনতা পুলিশের গাড়ী থেকে তিন গরু চোরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ীতে তোলার সময়ে তিন গরু চোরকে মারধর করে। এই সময়ে উপস্থিত দু মেম্বারের হস্তক্ষেপে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে। পরে পুলিশ তিন গরু চোরকে থানায় নিয়ে আসে ।

এলাকার লোকজন অভিযোগ করে বলেন, গত এক বৎসরে আবদুল ছবুর বৈদ্যৈর পুত্র মনির হিংগলা কাজীর খীল এলাকা থেকে ২০টির অধিক গরু চুরি করে। দিনে মনির এলাকায় ঘুরে বেড়ায় রাতেই গরু চুরি করে। গরু চোর মুনিরের সাথে বাইরের কয়েকজন যুবক গরু চুরির ঘটনায় জড়িত রয়েছে। অপর দিকে রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পটিয়া পাড়া থেকে চারটি মহিষ চুরি করে যায় গত ৩০ মে।

রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, নোয়াপাড়ার মহিষ চুরির ঘটনার ব্যাপারে রাউজান থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। ডাবুয়ার কাজীর খীল থেকে গরু চুরির ঘটনায় তিন যুবককে আটক করে জনতা মারধর করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। ডাবুয়ার কাজীর খীল থেকে গরু চুরির ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্বে গরুর মালিক থানার মামলা দিলে মামলা নেওয়া হবে।