রাউজানের হলদিয়া পাহাড়ী এলাকায় গাছের কান্না শোনার কেউ নেই

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানপুর, বৃন্দ্বাবনপুর, বানারস, পাচঁপুকুরিয়া, জানিপাথর, উত্তর আইলী খীল এলাকার পাহাড় টিলা রয়েছে। পাহাড় টিলা ভুমির জমির মধ্যে অধিকাংশ পাহাড় টিলা সরকারী খাস জমি ও বন বিভাগের মালিকানাধীন জমি। সরকারী খাস জমি ও বন বিভাগের মালিকানাধীন জমি জবর দখল করে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গড়ে তোলেছে বৃক্ষের বাগান। একই সাথে ডাবুয়া রাবার বাগান ও হলদিয়া রাবার বাগানের জমি ও জবর দখল করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রজাতির বাগান গড়ে তোলেছে।

সরকারী খাস জমি ও বন বিভাগের মালিকানাধীন জমি থেকে প্রতিদিন ব্যাপক হারে সেগুন, গামরী, আকাশমনি গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ নিধন করছে প্রভাবশালী গাছ খোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পাহাড় টিলা থেকে প্রতিদিন ব্যাপক হবে বৃক্ষ নিধন করা হলে ও গাছের কান্না শোনার কেউ নেই।

সম্প্রতি হলদিয়ার পাহাড় টিলা থেকে বৃক্ষ নিধন করার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে স্থানীয় চেয়ারেম্যান শফিকুল ইসলাম সহ বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী হলদিয়ায় উত্তর আইলী খীল এলাকায় উপস্থিত হয়।

গাছ ক্রয়কারী বানু দে বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী, কতিপয় সাংবাদিক ম্যনেজ করার কথা বলে আমার কাছ থেকে স্থানীয় মেম্বার ফিরোজ আহম্মদ দশ হাজার টাকা নেয়। ঐদিন ব্যক্তি মালিকানাধীন টিলা থেকে গাছ কাটা বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী পরির্দশন করলেও একই এলাকায় সরকারী খাস জমি থেকে স্থানীয় মেম্বার ফিরোজ আহম্মদ ব্যাপক হারে গাছ কাটলে ও তা দেখেনি।

স্থানীয় মেম্বার ফিরোজ আহম্মদ এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মেম্বার ফিরোজ আহম্মদ বলেন, বনবিভাগের মালিকানাধীন জমির অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেওয়ায় বন বিভাগের পাহাড়ে রোপন করা গাছ আমি কেটে আনছি। আমার ফার্নিসারের দোকানে গাছ গুলো এনে ফার্নিসার তৈয়ারী করবো।

কাঠ ব্যবসায়ী বানুর কাছ থেকে টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে মেম্বার ফিরোজ আহম্মদ বলেন, বানু আমাকে ৯ হাজার টাকা দিয়েছে। ঐ টাকা থেকে বনবিভাগের কর্মকর্তাকে ৪ হাজার টাকা ও কতিপয় সাংবাদিকদের ৩হাজার টাকা দিয়েছে বলে জানাযায়। নিউজ না করলে এই প্রতিবেদককেও টাকা দিবে বলে জানান। এই প্রতিবেদক টাকা না নিয়ে নিউজ করাকে উনার দ্বায়িত্ব মনে করেছেন।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জের আওতাধিন রাউজান ঢালারমুখ ষ্টেশন অফিসের ষ্টেশন অফিসার উজ্জল কান্তি মজুমদারকে ফোন করে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জের আওতাধিন রাউজান ঢালারমুখ ষ্টেশন অফিসের ষ্টেশন অফিসার উজ্জল কান্তি মজুমদার বলেন, হলদিয়ার পাহাড়ী এলাকায় বৃক্ষ নিধন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। যে টিলা থেকে গাছ কাটা হয়েছে তা মালিকানাধীন হওয়ায় আমি ফিরে আসি। নিধন করা গাছ ক্রয়কারী বানুর কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি। একই এলাকায় সরকারী বন বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড় থেকে বৃক্ষ নিধন করার বিষয়ে আমাকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কেউ বলেনি।