রাউজানের নোয়াজিশপুরে কাটা হচ্ছে সর্তাখালের বাধ, ভরাট করা হচ্ছে কৃষিজমি

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজান উপজেলার ১৫নং নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ফতেনগর মিলন মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন সর্তার খাল। সর্তার খালের ভাঙ্গনে মিলন মাস্টারের বাড়িসহ এলাকার ত্রিশটি পরিবারের বসতঘর ও ফসলি জমি খালে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গন কবলিত মিলন মাস্টারেরবাড়ির বিপরীতে ডাবুয়া ইউনিয়নের পশি।

চম ডাবুয়া, চিকদাইর ইউনিয়নের সীমানায় জেগে উঠে বিশাল চর। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাধ নির্মাণ করে। গত দুই মাস ধরে সর্তা খালের মধ্যে জেগে উঠা চর ও চরের সাথে এলাকার কৃষকের সব্জিসহ ফসলি জমি স্কাভেটর দিয়ে মাটি কেটে খালের বাধ সোজা করার নামে মাটি কাটা হচ্ছে।

চর ও বাধ কাটা মাটি ড্রাম ট্রাক দিয়ে নোয়াজিষপুর ইউপনিয়নের ফতেনগর, পশ্চিম ফতেনগর, নদিমপুর, পশ্চিম নদিমপুর, ইসাখার দীঘির পূর্ব পাশ্বেও কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে।

এছাড়াও সর্তাখালের চর ও বাধ কাটার মাটি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সময়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে গলিরঘাট সড়ক ও অদুদিয়া সড়ক ফতেনগর বড়ুয়াপড়া সড়ক দিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর, আব্দুল্লাহপুর, ধর্মপুর, জাহানপুর, তেলপারই এলাকায় কৃষি জমি পুকুর জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে।

সরকার কৃষি জমি রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হলে রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী কৃষি জমি থেকে মাটি খনন ও কৃষি জমি ভরাট না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়। সরকারও রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশকে অমান্য করে নোয়াজিষপুওে অবাধে কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে।

এলাকায় ঘুরে কৃষি জমি ভরাট করার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে, স্থানীয় সাধারন মানুষ তারা টাকার বিনিময়ে কৃষি জমি ভরাটের সর্তা খালের বাধ কাটা মাটি নিচ্ছে। তবে কাদের কাছ থেকে মাটিগুলো ক্রয় করছে সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখে কুলুপ এটেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সর্তা খালের বাধ কেটে কৃষি জমি ভলাট করা হলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার মাছুম কবির বলেন, কৃষি জমি ভরাট ও কৃষি জমি খনন করা বন্দ্ব সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কৃষি জমি ভরাট ও কৃষি জমি থেকে মাটি খনন বন্দ্বে অভিযান শিথিল থাকায় কৃষি জমি ভরাট করা হলে ও আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয় ।