শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তারা দুজনই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।
২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন।নিহত শান্ত সাহা পুরকৌশল বিভাগের ’২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২০০১১০০)। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২১০১০০৬)। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের সন্তান।
চুয়েটের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) ফজলুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শান্ত সাহার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং তৌফিকের মরদেহ এভারকেয়ার হসপিটালে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।নিহত শান্ত সাহা পুরকৌশল বিভাগের’২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২০০১১০০)। তিনি নরসিংদী জেলার কাজল সাহার ছেলে। তৌফিক হোসেন একই বিভাগের’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী (আইডি-২১০১০০৬)। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের সন্তান।
এঘটনার পর ২২ এপ্রিল সোমবার সন্দ্ব্যায় চুয়েট গেইটের সামনে চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কে ব্যরিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এসময়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা শাহ আমানত নামে একটি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
সড়ক অবরোধের সংবাদ পেয়ে রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমাযুন কবির ও রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তোজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করে সড়ক অবরোধ তুলে ফেলে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় মারা যাওয়ার ঘটনার জের ধরে চুয়েট গেইটে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার সংবাদ পেয়ে
রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমাযুন কবির সহ আমি পুলিশের সদস্য নিয়ে উপস্থিত হয়ে সড়কের অবরোধ তুলে ফেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়। রিপোর্ট লেখা সময়ে পর্যন্ত পুলিশ চুয়েট গেইটে কাপ্তাই সড়কে অবস্থান করছে ।