কাগতিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ ভাংচুর জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজান উপজেলার ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া এলাকায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে রাতে কাগতিয়া মাদ্রাসায় রাজাকার ক্যাম্পে হানা দেয় মুক্তিযোদ্বারা। ঐসময়ে মুক্তিযোদ্বাদের সাথে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধে চলাকালে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে রাউজানের মোহাম্মদপুর গ্রামের অলি খান বাড়ীর ফোরক সারাংয়ের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্বা মোঃ মুসা মারাত্বক ভাবে আহত হয়।

আহত বীর মুক্তিযোদ্বাকে নিয়ে মুক্তিযোদ্বারা রাউজানের আবুরখীল এলাকায় গোপনে চিকিৎসা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্বা মোঃ মুছা মৃত্যর কোলে ঢলে পড়েন। এই সংবাদ পেয়ে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা রাজাকার বাহিনীর আবুর খীল এলাকায় হানা দেয়। ঐসময়ে শহীদ মুক্তিযোদ্বা মোঃ মুছার লাশ ফেলে মুক্তিযোদ্বারা দুরে সরে যায়। এরপর থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্বা মোঃ মুসার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে রাজাকার বাহিনীর হাতে শহীদ মুক্তিযোদ্বা মোঃ মুসার স্বরণে যুদ্ব সংগঠিত স্থানে এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির সহায়তায় কাগতিয়ায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মান করা হয় মুক্তিযুদ্ব স্মৃতি সৌধ।

গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুবৃত্তরা স্মৃতি সৌধ ভাংচুর করেন । ২৯মার্চ শুক্রবার এইসংবাদ পেয়ে রাউজানের মুক্তিযোদ্বারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। জুমার নামাজের পর মুক্তিযোদ্বারা স্মৃতি সৌধে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্বা ইউছুফ খান চৌধুরী, খোকন কান্তি বড়ুয়া, আবু মোহাম্মদ, সাধন পালিত সহ মুক্তিযোদ্বারা রাউজান থেকে বিতারিত উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা স্মৃতি সৌধ ভাংচুর করেন বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করার দাবী জানান।

মুক্তিযোদ্বাদের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যোন এহসানুল হায়দার বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম সহ আওযামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ব স্মৃতি সৌধ ভাংচুর করার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার ব্যাপারে মাহিন নামের এক যুবক বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১০/ ১৫জনকে আসামী করে রাউজান থানায় অভিযোগ করেন। ঘটনার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজে বের করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ব স্মৃতি সৌধ ভাংচুর করার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্বা কাজী আবদুল ওহাব সহ রাউজানের মুক্তিযোদ্বারা।