অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্যকে টাকায় রূপান্তর করছে রাউজান পৌরসভা

বিক্রি হলো প্রক্রিয়াজাতকৃত ১৫টন কাঁচামাল

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
অপচনশীল আবর্জনাকে টাকায় রূপান্তর করছে রাউজান পৌরসভা। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিষ্ঠা করা প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রকল্পে অপচনশীল আবর্জনা থেকে প্রক্রিয়াজাতকৃত কাঁচামাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

রবিবার দুপুরে প্রথম ধাপে প্রক্রিয়াজতকৃত ১৫টন কাঁচামাল বিক্রি করা হয়। বিক্রয় কার্যক্রম কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ।

তিনি বলেন, ‘রাউজানবাসীর অভিভাবক, রাউজান থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় রাউজান পৌরসভাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন মডেল পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে অপচনশীল আবর্জনা প্রক্রিয়াজত প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি বর্তমানে আয়বর্ধক প্রকল্পে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি। একদিকে পরিবেশ রক্ষা, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রকল্পটি আয়ের মুখ দেখায় আমি খুবই আনন্দিত।’ বিক্রয় কার্যক্রম কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশিদ টিপু, কাঁচামাল ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থ্রি স্টার রিসাইক্লিং প্লাস্টিক এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোলাইমান ও একই প্রতিষ্ঠানের অংশীজন মো. জাহেদ।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, থ্রি স্টার রিসাইক্লিং প্লাস্টিক প্রোডাক্ট নামে একটি প্রক্রিয়াজত কোম্পানীর নিকট প্রায় ১৫টন কাঁচামাল বিক্রি করা হয়েছে। অচনশীল আবর্জনা থেকে প্রক্রিয়াজাতকৃত বিভিন্ন আইটেমের কাঁচামাল বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পৌরসভার প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট’র ব্যবস্থাপক তাওহীদুল ইসলাম জব্বার।

তিনি আরও বলেন, ‘রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ প্রতিবস্তা ২০০-৩০০ টাকা দরে অচনশীল আবর্জনা ক্রয়ের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন। শুরুতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়ার জন্য এসব আবর্জনা সংগ্রহ করা হলেও আবর্জনাকে প্রক্রিয়াজাত করে আয়বর্ধক প্রকল্পে স্থান করে নিয়েছে প্রকল্পটি।’

ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থ্রি স্টার রিসাইক্লিং প্লাস্টিক এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোলাইমান বলেন, ‘রাউজান পৌরসভার এই প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় আমরা কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে বেচে নিয়েছি। আমরা প্রথম ধাপে প্রায় ১৪টন কাঁচামাল সংগ্রহ করেছি। এসব কাঁচামাল থেকে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সমাগ্রী তৈরি করা হবে।’ উল্লেখ্য, রাউজান পৌরসভাকে মডেল হিসেবে নিয়ে অনুকরণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও পটিয়া পৌরসভা। ইতোমধ্যে এই দুই প্রতিষ্ঠানের দুটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া রাউজান পৌরসভা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করায় দেশের প্রথম পৌরসভা হিসেবে আইএসও সনদ পেয়েছেন।