রাউজানে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা হাইওয়ে পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্টঃ পৌর মেয়রের সহযোগিতা চাইলেন চালকরা

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে রাউজান হাইওয়ে থানার পুলিশ এসে রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশন, মুন্সির ঘাটা এলাকা থেকে সি,এন,জি অটোরিক্সা ধাওয়া করে। পুলিশের তাড়া খেয়ে শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা চালক দল বেধে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজের রাউজান ফকির হাট বাসার সামনে জড়ো হয়।

পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ তার বাসা থেকে বের হলে সিএনজি চালকরা পুলিশের নির্যাতন করার অভিযোগ করেন। সিএনজি চালক সমিতির লাইন্যমান ও শ্রমিক নেতা ফোরকান, মুবিন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, প্রতি মাসে হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সা ৫ শত টাকা করে চাদাঁ দিতে হয়।

পুলিশের ডিউটি করার নামে প্রতিদিন পুলিশ রাউজানের নোয়াপাড়ায়, পুর্ব গুজরা পুলিশ ফাড়ি, চিকদাইর পুলিশ ফাড়ী, রাউজান থানা পুলিশ শত শত সিএনজি অটোরিক্সা সড়কে থামিয়ে চাদাঁ আদায় করেন। প্রতিদিন পুলিশের দুটি সিএনজি অটোরিক্সা প্রয়োজন হলে ও শত শত সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ডিউটির নাম দিয়ে চাঁদা আদায় করেন।

রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের অভিযোগ শুনে বাসার সমনে থেকে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের নিযে পায়ে হেটে রাউজানের মুন্সির ঘাটায় যায়।

রাউজানের মুন্সির ঘাটায় রাউজান হাইওয়ে থানার ওসি মোজ্জামল হকের সাথে কথা বলেন। এসময়ে রাউজান হাইওয়ে থানাার ওসি মোজ্জামেল হক বলেন, সড়কে যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সড়কের উপর থেকে সিএনজি অটোরিক্সা সরানোর জন্য অভিযান করেছি। চাদা আদায় করার কথা এড়িয়ে যায় রাউজান হাইওয়ে থানার ওসি মোজ্জামেল হক।

পরে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ ও হাইওয়ে থানার ওসি মোজ্জামেল হক সড়কে এলোপাতারী পার্কিং না করে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করার নির্দেশনা দিয়ে উত্তেজিত সিএনজি চালকদের শান্ত করেন।