রাউজানে উৎসবমুখর পরিবেশে সহিংস ঘটনা ব্যতিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজানে উৎসবমুখর পরিবেশে কোন ধরনের সহিংস ঘটনা ব্যতিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারী রবিবার সকাল ৮ থেকে রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ৯৫ টি ভোট কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শুরু হয়।

সকাল থেকে পুরুষ মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশী। বিকালে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ভোট কেন্দ্রে গুলো ঘুরে দেখা যায় ভোট কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী প্রতিক নৌকা, ইসলামী ফ্রন্ট্রের প্রার্থী স,ম জাফর উল্লাহ প্রতিক চেয়ার, জাতীয় পাটির প্রার্থী শফিক উল আলম চৌধুরী প্রতিক লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট শফিউল আজম প্রতিক ট্রাক,তৃনমুল বিএনপির প্রার্থী মোঃ ইয়াহিয়া জিয়াউদ্দিন চৌধুরী প্রতিক সোনালী আশঁ প্রতিক এর পোলিং এজেন্ট দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

অনেক কেন্দ্রে বৃদ্ব মহিলা ও পুরুষ পায়ে হেটে এসে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা যায়। একই ভাবে প্রতিবন্দ্বী হুইর চেয়ার নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন।

রবিবার সকাল রাউজান মহিলা মার্দ্রাসা কেন্দ্রে অসুস্থ বৃদ্ব আবদুল ওহাবকে পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী হাত ধরে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসেন একই কেন্দ্রে রাউজান মহিলা মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রে দিলূয়ারা বেগম ভোট দেওয়ার জন্য গেলে দিলুয়ারার ছোট শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে তার স্বামী মনির হোসাইন কেন্দ্রের বাইরে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে রাউজানের খলিলাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দে ভোট দিয়ে পাযে হেটে বাড়ীতে যাচ্ছেন বৃদ্বা মহিলা মালন্দ নাথ তার বাড়ীতে যেতে দেখা যায় দুপুরে রাউজানের পশ্চিম ডাবুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হুইল চেয়ার নিয়ে ভোট দিতে আসেন প্রতিবন্দী বাবলা বড়ুয়া। গতকাল রবিবার সকালে রাউজানের গহিরা কলেজ কেন্দ্র এসে ভোট দেয় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও তার পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী, ফারহান করিম চৌধুরী ।নির্বাচন চলাকালে রাউজানের প্রতিটি বোট কেন্দ্রে পুলিশ আনাসার বাহিনীর সদস্যরা নিরপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। ভোট কেন্দ্রের আশে পাশে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায়কযেকজন ম্যজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ডের সদস্যরা ঘুরে টইল দেয় ।

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৯৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোট কেন্দ্র গুলোতে প্রিজাইডিং অফিসার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, সহ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কমকর্তা, পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যরা ভোট কেন্দ্রে পৌছে ভোট গ্রহন করার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ডের সদস্যরা গাড়ী নিয়ে টইল দিতে দেখা যায়। আনসার ব্যাটরিয়ন, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড এর স্টাইকিং ফোর্স ভোট কেন্দ্র ও সড়কে টইল জোরাদার করেন। সকালে রাউজানের গহিরা কোতয়ালী ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহফজুল হায়দার চৌধুরী রোটন ভোট দেয় বলে আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদুল আলম জানান।

ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন কালে দুপুর ১২ টার সময়ে হলদিয়া জানিপাথর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ বলেন, অবাধ ও সুষ্ট শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহন কার্যক্রম চলছে। রাউজানের রাউজান আর আর এ সি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুম কবির বলেন, সুষ্ট ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে মহিলা ও পুরুষ লাইন ধরে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজানের সাধারন মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। সাধারন মানুষের উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত হয়ে পড়েছি। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি আশবাদি, কারন আমি রাউজানের সাধারন মানুষের কল্যানে কাজ করেছি, রাউজানের উন্নয়ন করেছি। রাউজানের মানুষ আমার পরিশ্রম ত্যাগকে মুল্যায়ন করবেন।

ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী স,ম জাফর উল্ল্যাহ দুপুরে রাউজানের ডাবুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঐ সময়ে ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী স,ম জাফর উল্ল্রাহ বলেন, সুষ্ট ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। সাধারন ভোটারেরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করছেন।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী রিটানিং অফিসার অংগজ্যাই মারমা বলেন, রাউজানে সুষ্ট শান্তিপুর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের সংহিংস ঘটনা সংগঠিত হয়নি। চট্টগ্রাম ৬ রাউজান আসনে ৯৫টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৬২ জন ভোটার।

রিপোর্ট লেখা সময়ে পর্যন্ত ভোট গ্রহন শেষ হলে ও ভোট কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ আইন শৃংখরা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপজেলা সদরে ফিরতে শুরু করেছেন।