রাউজানে অতিথি পাখী আসছে ঝাকেঁ ঝাকেঁ

শফিউল আলম, রাউজান ঃ
প্রতিবছর শীতের শুরুতে আমাদের দেশে নাম না জানা রংবেরঙের অনেক অতিথি পাখি বেড়াতে আসে। নদী, বিল, জলাশয় ও পুকুরে এসে ভরে যায় এসব পাখিরা।

তেমনি চট্টগ্রামের রাউজানে প্রতি বছরই শীতের সময়ে এই পাখিদের আগমন দেখা যায়। হালদা নদী, ঈসা খাঁ দিঘি, লস্কর দিঘি, পরীর দিঘি, নরসরত বাদশা দিঘি, জল পাইন্ন্যা দিঘি, রায় মুকুট দিঘি, বৃকবানুপুর দিঘিসহ, বগোয়ানের কোয়ে পাড়া গোলমা কিবরিয়া সাব রেজিস্ট্রারের বাড়ীর সামনের পুকুর সহ বড় আকৃতির জলাশয় গুলোতে এসব পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে জলখেলিতে আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন।

এসব পাখিরা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতের লাদাখ থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করে। সাইবেরিয়া থেকেও এসব পাখি আসে।

এরা কিছু দিন থাকার পর আবার ফিরে যায় নিজ দেশে। আগত অতিথি পাখি গুলো অনেক সময় শিকারীর কাছে ধরা পড়ে। এটা গুরুতর অপরাধ।

রাউজান উপজেলা নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঈসা খাঁ দিঘিতে ও কদলপুর ইউনিয়নের লস্কর দিঘি, গহিরা দলই নগর নসরত বাদশার দিঘিতে দল বেধে কয়েক হাজার অতিথি পাখি এসেছে শীতের মৌসুমের শুরুতেই।

তাদের কিচিরমিচির শব্দে এই দিঘিতে আসা অতিথি পাখি দেখতে দূর দুরান্ত থেকে অনেক এলাকার লোকজন ছুটে আসছে।

জানা যায়, রাউজানে অতিথি পাখির নিরাপদ অভয়ারণ্যে সৃষ্টি করতে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেকারণেই রাউজানকে নিরাপদ মনে করেন আগত অতিথি পাখিরা। সেজন্যে রাউজানের প্রতিটি জলাশয়, দিঘি, খাল, বিলে অতিথি পাখির বিচরণ দেখা যায়।

রাউজানের দলই নগর এলাকার বাসিন্দ্বা দিদারুল আলম বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে আমার এলাকায় নসরত বাদশার দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে।

আগত অতিথি পাখি গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকার সকল মানুষ আন্তরিক ভাবে দেখভাল করে। এই এলাকার মানুষ অতিথি পাখি দেখতে এই দিঘিতে আসে। পাখিদের সাথে ছবি ধারণ করেন।

অপরদিকে ঈসা খাঁ দিঘি নানানরকম মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আশ্রিত পাখিদের জলখেলি দেখতে পাখি প্রেমীরা দিঘিতে আসেন বলে স্থানীয়রা জানান।