শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
কর্ণফুলী ও হালদা নদীর জোয়ারের পানির শ্রোতে ক্ষতবিক্ষত দক্ষিন রাউজানের কয়েকটি এলাকার সড়ক এতে হাজার হাজার মানুষের জনদুভোর্গ চরমে।
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন দরগাহ বাড়ী সড়ক, কোয়েপাড়া সড়ক, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উভলং সড়ক, পালোয়ান পাড়া, সুর্যসেন পল্লী, ঝিকুটি পাড়া, নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট ঘাটকুল সড়ক, নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট কচুখাইন সড়ক, কচুখাইন গনি মিয়ার হাট সড়ক, পশ্চিম নোয়াপাড়া সড়ক, মোকামী পাড়া সড়ক, ছমিদর কোয়াং সড়ক, সামমাহলদর পাড়া সড়ক, উরকিরচর ইউনিয়নের সার্কদা, দেওয়ানজী ঘাট, হারপাড়া সড়ক কর্ণফুলী ও হালদা নদীর জোয়ারের পানির শ্রোতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে এলাকার হাজার মানুষ, স্কুল, কলেজ, মার্দ্রাসা, শিক্ষার্থী প্রতিদিন পায়ে হেটে চরম দুভোর্গের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে প্রতিদিন ।
স্থানীয় বাসিন্দ্বারা জানান, গত কয়েক বৎসর ধরে বর্ষার মৌসুমে ভারি বর্ষন হলে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর জোয়ারের পানির শ্রোতে সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সর্বশেষ গত সাত মাস আগে ভারী বৃষ্টির মধ্যে কর্ণফুলী ও হালদার জোয়ারের পানির স্রোতে এলজিইডির তালিকাভুক্ত নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামমাহালদার পাড়া-মোকামীপাড়া-ছামিদর কোয়াং সংযোগ সড়কের একটি স্থানে প্রায় ৪০০ মিটার অংশ ভেঙে জমির সঙ্গে মিশে গেছে। সড়কটির স্থানে স্থানে আরও অন্তত ২০০ মিটার অংশেও একই অবস্থা হয়। এ অবস্থায় সড়কটি দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এমনি হেঁটে চলাচল করতেও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদীর জোয়ারের পানির শ্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলো মেরামত পুনঃনির্মানের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ।
এলাকার স্থানীয়রা বলেন, গত এপ্রিলের শুরুর দিকে টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীর পানির তোড়ে সড়কের একাধিক অংশ ধসে পড়েছিল। পরে বন্যায় আরও অন্তত চার পাঁচ স্থানে ভেঙে খাদ হয়ে যায়। ফলে গ্রামবাসিরা নিজ উদ্যোগে সাঁকো তৈরি গাড়ির বদলে হেঁটে চলাচল করছে ঝুঁকিতে।সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির যে ৪০০ মিটার ধসে পড়েছে, তা মোকামীপাড়া অংশে। এর মধ্যে সড়কটির সামমাহালদার পাড়া, ছামিদর কোয়াং তিন গ্রামের আর পাঁচটি স্থানে সড়ক ধসে একেবারে পাশের জমির সঙ্গে মিশে গেছে, সড়কের কোনো অস্তিত্বই নেই। সার্কদা দেওয়ানজি ঘাট, হারপাড়া সড়ক ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে । নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, উরকিরচর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত না করায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে ।
বর্ষায় ভারি বৃষ্টি হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদীর পানি ৬ থেকে ৮ ফুট বেড়ে যায়। এ সময় স্রোতের তোড়ে সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয় ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, আমরা বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পরিদর্শন করেছি। এটি আরসিসি ঢালাই এবং নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের জন্য এলজিইডির সদর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হবে।