শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
জমি দখল, চাঁদা দাবি, মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাউজান পৌরসভার ০৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে রাউজান মুন্সিরঘাটাস্থ একটি রেস্টুরেন্টে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী বিধান চন্দ্র ধরের মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা শিউলি ধর।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সালে আমার বাবা সাড়ে ২২ শতক জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। পরে ভূমিদস্যু মনোরঞ্জন মুহুরী, ভূমিদস্যু স্বপন কুমার বনিক, তপন কুমার বনিক, অনিল বনিক আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করে। আমার স্কুল শিক্ষিকা মা বাসায় ফিরে
রান্নাবান্না করে ঘুমাতেন, তারা তালা ভেঙে আমাদের ঘরের মালামাল লুট করে। ঘরের দরজা-জানালা পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। পরে মা রাঙামাটিতে কোয়াটারে চলে যাওয়ার পর আমাদের অনেক বৃক্ষ কেটে ফেলা হয়।
এরা আমাদের জায়গাটি দখলে নেওয়ার জন্য ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। তাদের অত্যাচারে সইতে না পেরে আদালতের শরণাপন্ন হয়, মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা সংশ্লিষ্টরা। একদিন কোর্ট থেকে নামার সময় আমার বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমার বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমার দোকান ও ঘরের তালা ভেঙে পূজা কমিটির দিপ্ত. ভূমিদস্যু স্বপন কুমার বণিক, মনোরঞ্জন মুহুরি, মিঠুন দে, ছোটন দে, লিটন দে, চন্দন ধর প্রবেশ করে।
কিছুদিন আগে আমি দুই লক্ষ টাকার ইট, বালু,
সিমেন্ট নিয়ে নির্মাণ শ্রমিক ডেকে দেওয়াল দিতে গেলাম। আমাদেরকে ছোটন, লিটন, দিপ্ত, চন্দন, রিপন, মায়ানি, মিঠুন দে, স্বপন কুমার বণিক, মনোরঞ্জন মুহুরী, তপন কুমার বণিক,
অনিলের স্ত্রী মমতা আমাদের দা, শাবল নিয়ে আমাদের মারতে তেড়ে আসে। এলাকাবাসী আমাদের বাঁচিয়েছে। আমি নাকি মন্দির ভেঙে এ কাজ করেছি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরির্দশনে যায়। স্বপন কুমারের ভাতিজা সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে বলেছিলেন এটি মিথ্যা অভিযোগ। ওরা কোনোদিন মন্দির ভাঙেনাই। ওদের জায়গায় দেওয়াল দিচ্ছে।
আমি সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি তদন্ত করে দেখুন আমি অন্যায় করছি নাকে আমার সাথে ওরা অন্যায় করছে। আমার দোষ হলে আমাকে শাস্তি দিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধন ধর, বিপ্লব ধর, নুপুর বালা বণিক প্রমূখ।