হালদা নদীতে মরে ভেসে উঠলো১৩ কেজি ওজনের ডলফিন

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আজিমারঘাটের একটু নিচের দিকে পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় একটি গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত্য ডলফিন উদ্ধার করা হয়। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ইঞ্চি এবং ওজন ১৩.৩৯০ কেজি। এই নিয়ে এই বছরে হালদায় ৩টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত হালদা নদী থেকে ৪২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হলো। ডলফিনটি পঁচে যাওযায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীর শাখা খালগুলোর দূষণের ফলে ডলফিন মারা যেতে পারে। হালদা জলজ বাস্তুতন্ত্রকে মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে দূষনসহ সবধরনের ধংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, সাড়ে ১১ টার দিকে আজিমের ঘাট এলাকা থেকে একটি ডলফিন অর্ধ গলিত ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পাড়ে তুলে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়।তবে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই।

ধারণা করা হচ্ছে যে, যেহেতু জোয়ার শুরুর প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা পর ডলফিনটিকে ভেসে আসতে দেখা যায় সেক্ষেত্রে হালদা নদীর নি¤œ অববাহিকা বা কর্ণফুলী নদীতে এটি মারা গিয়ে থাকতে পারে। কর্ণফুলী নদীতে সাম্প্রতিক দূষণ ও জাহাজ বা অন্যান্য নৌযান হতে তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণেও ডলফিন মারা যেতে পারে। তিনি আরও জানান, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য রাউজান-হাটহাজারী উপজেলায় পর্যাপ্ত জনবল সংকট রয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য দু’ উপজেলায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগসহ নিজস্ব নৌযানের ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এই আশাবাদ এলাকাবাসীর।