রাউজানবার্তা প্রতিবেদকঃ
রাউজানে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীদের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৩৮) নামে এক যুবদল নেতা আহত হয়েছে । গতকাল ১৪ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সোমবাইজ্জে হাটে এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারীরা আনোয়ার হোসেনের দুই পায়ে এবং মাথায় গুলি করেছে বলে জানা গেছে ।
তিনি উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
এ ঘটনায় আজ ১৫ ডিসেম্বর রোববার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতার ভাই মুহাম্মদ দিদার হোসেনও ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেতুর ওপর দাঁড়িয়েছিলাম তখন। হঠাৎ সেখানে অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। তাঁরা আনোয়ারের শরীরে তিনটি গুলি চালিয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বালু ও মাটির ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ওই এলাকার অনেক পাহাড়, টিলা এবং কৃষিজমি কেটে বিক্রি করছে ৫০ জনের একটি সিন্ডিকেট। আগে সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রণ করতেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁদের অনেকে এখন বিএনপিতে যোগ দিয়ে মিলেমিশে বালু, পাহাড়, টিলা ও কৃষিজমি কেটে বিক্রি করছেন। ব্যবসার আধিপত্য ধরে রাখতেই এমন দ্বন্দ্বের শুরু। ১৫ দিন আগেও একই ইউনিয়নের ভোমরপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল। গত ৩০ নভেম্বর রাতে একই ইউনিয়নের শমসেরপাড়া গ্রামে নাসির উদ্দিন (৪৫) নামের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছিল। তিনিও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, আনোয়ার হোসেন রাউজান উপজেলা যুবদলের সদস্য। তাঁকে গুলি করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শফিকুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ছয়জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।