রাউজানে সর্তার চর ও ফসলী জমির মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর মিলন মাস্টারের বাড়ী সহ শতাধিক পরিবারের বসতঘর সর্তার খালের ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যায়। সর্তার খালের ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাওয়া শতাধিক পরিবার বাপ দাদার বসত ভিটা হারিয়ে নিজ জম্মভুমি ছেড়ে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে।

সর্তার খালের ভাঙ্গনে মিলন মাস্টারের বাড়ী সহ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ী শ্বশান, পুকুর খালের অপর পাড়ে ভরাট হয়ে বিশাল চর জেগে উঠে। জেগে উঠা চরের সাথে রাউজানের ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া জমিদার ভৈরব সওদাগারের বাড়ী পেছনে বিশাল আয়তনের ফসলী জমি। পাশে চিকদাইর ই¦উনিয়নের সীমানায় রয়েছে ফসলী জমি। জেগে উঠান চর ও চরের সাথে ফসলী জমিগুলো উর্বর।

এসব ফসলী জমিতে সব্জি, আখ ক্ষেত, পেপেঁ বাগান, কলা বাগান এর চাষাবাদ হয় প্রচুর পরিমান। সারা বৎসর সব্জি ও ফল উৎপাদনের জমি হিসাবে পরিচিত এ এলাকার ফসলী জমি। কৃষকরা পশ্চিম ডাবুয়া ফতেহ নগর, চিকদাইর অংশের জমিতে সব্জি, আখ, কলা, পেপে, উৎপাদন করে। উৎপাদিত সব্জি, আখ, কলা, পেপে বাজারে বিক্রয় করতো। রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কৃষকের কাছ থেকে ক্ষেত থেকে সব্জি, আখ, কলা, পেপে ক্রয় করে বাজারে বিক্রয় করতো।

সর্তার খালের বাক কেটে ভাঙ্গন রোধের নাম দিয়ে ফতেহ নগর, পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর এলাকায় জেগে উঠা খালের চর, ফসলী জমি থেকে এসকেভটার দিয়ে মাটি খনন করে ড্রাম ট্রাক দিয়ে রাউজানের নোয়াজিশপুর, ফটিকছড়ির আবদুল্লাহপুর, জাফত নগর, শ্যমলা হাট, রাউজানের উত্তর সর্তা, ডাবুয়া ইউনিয়নের পাঠান পাড়া, কেউকদাইর, পশ্চিম ডাবুয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা, চিকদাইর এলাকায় কৃষি জমি ভরাট, পুকুর জলাশয় ভরাট করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার, চিকদাইর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর কবির, ডাবুয়ার এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা।

ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার সময়ে এলাকার কোন কৃষক প্রতিবাদ করলে কৃষককে বেধম প্রহার করতো বলে কৃষক তসলিম উদ্দিন জানান। মাটি খোকো আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ে জমির মালিক ও কৃষকরা আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে কোন প্রতিবাদ করারসাহস পায়নি।

ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রয় করার বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানালে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা নিরবতা পালন করতো। সর্তার খালের বাক কেটে খালের ভাঙ্গন রোধে মাটি কাটা হলে ও খালের ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

রাউজানের ফতেহ নগর, পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর এলাকায় বিপুল পরিমাণ ফসলী জমির মাটি কেটে জমির মালিক ও কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি করেন আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতারা। এছাড়া ও রাউজানের নোয়াজিশপুর ঈশা খা দিঘি সরকারী জলমহল, ঈশা খাঁ দিঘি ইজারা না নিয়ে কয়েক বৎসর ধরে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে বিপুল পরিমান টাকা আয় করেন নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার ।

গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার, প্রিয়তোষ চৌধুরী এলাকা ছেড়ে আর্ত্নগোপনে চলে যায় । সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার ও প্রিয়তোষ চৌধুরীর মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করা হলে ও তাদের মোবাইল নম্বর বন্দ্ব থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এপ্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগজ্যাই মারমাকে ফোন করে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহি অফিসার অংগজ্যাই মারমা ফোন রিসিভ করেনি।