দেড় যুগ পর রাউজানে জামায়াতে ইসলামের কর্মী সম্মেলন

আমরা খুন, গুম ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই- কর্মী সম্মেলনে বক্তারা

রাউজানবার্তা প্রতিবেদকঃ
দীর্ঘ ১৮ বছর ( দেড় যুগ ) পর রাউজানে প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় উপজেলার পথেরহাটেস্থ কর্ণফুলী কনভেনশন সেন্টারে রাউজান উপজেলা শাখার আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির রাউজান উপজেলা শাখার আমীর শাহজাহান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার শূরা সদস্য ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম উত্তর জেলার শূরা সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ আলোচক ছিলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম উত্তর জেলার শূরা সদস্য মাওলানা জামাল হোসাইন।

সংগঠনটির উপজেলার সেক্রেটারি রিদুয়ান শাহের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাউজান উপজেলা শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সমাজ কল্যান সম্পাদক বেলাল মোহাম্মদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মো. আবুল হাশেম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি মো. ইউসুফ ইমন, আকতার কামাল।

আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপজেলা দক্ষিনের সভাপতি মো. আবু বকর, সাবেক সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম আনসারী, মো. হারুন আল রশিদ, হাফেজ মো. শহিদুল ইসলাম। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ইসলামী ছাত্রশিবির রাউজান উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তরা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের ইতিহাস আয়না ঘরের ইতিহাস, হত্যা-দুর্নীতির ইতিহাস। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার যে রাজাকার নামটি ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগে, মিথ্যা মামলায় আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের শহীদ করেছেন সেই রাজাকার শব্দটি জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এই স্বৈরাচার সরকার হতে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।

আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীনতার স্বাদ। এই অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা খুন, গুম ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।

সম্মেলন শেষে এক বিশাল মিছিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের নোয়াপাড়া পথেরহাট প্রদক্ষিন করে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পর ১ম বারের মত প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত কর্মীসম্মেলনে দক্ষিণের পাহাড়তলী, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, কদলপুর, উরকিরচর, পূর্ব গুজরা ও পশ্চিম গুজরা হতে দলটির কর্মী সমর্থকরা সকাল ৯টা হতে দলবদ্ধভাবে সম্মেলনে অংশ নেন।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সম্মেলনস্থলে জেল-জুলুমের শিকার, নির্যাতিত-নিপিড়িত অনেকের সাথে স্বশরীরে সাক্ষাতের মুহূর্তটি উৎসবে পরিণত হয়।

উল্লেখ্য, বিগত ২০০৭ সালের প্রথম দিকে উপজেলা সদরের আধুনিক কমিউনিটি সেন্টারে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দলটির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।