রাউজানবার্তা প্রতিবেদকঃ
৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সেদিন বিকেলেই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতোদিন ধরে পলাতকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে আসছিলেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেলে বালু যাওয়া জব্দ করা হয়। রাউজানের কর্ণফুলি নদীর তীর সংলগ্ন পাঁচখাইন এলাকায় বালু সিন্ডিকেটের ফেলে যাওয়া বালু দ্বিতীয় দফায় নিলামে বিক্রি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৮আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
অংগ্যজাই মারমা উপস্থিত থেকে বালু গুলো নিলামে বিক্রি করেন। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রিদুয়ানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকায় জব্দকৃত একটি স্পটে ২ লক্ষ ১০ হাজার বর্গফুট বালু প্রতি বর্গফুট ৪টাকা ৫৬ পয়সা করে, ১৮ শতাংশ ভ্যাটসহ মোট ১১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৬৮ টাকা, আরেকটি স্পটে জব্দকৃত ৭০ হাজার বর্গফুট ৪টাকা ২৫পয়সা করে, ১৮ শতাংশ ভ্যাটসহ ৩লক্ষ ৫১ হাজার ৫০টাকায় বিক্রি করা হয়।
এবিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
অংগ্যজাই মারমা বলেন, জব্দকৃত বালুগুলো দ্বিতীয় দফায় বিক্রি করা হয়েছে। পুরো রাউজানে তদারকি ফেলে যাওয়া বালু নিলামে বিক্রি করা হবে। এখানে আর কোনো বালু উত্তোলন করা যাবে না। স্তুপকৃত বালু বিক্রয়ের পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে বালু বিক্রি করার সুযোগ নেই।