শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
পবিত্র ঈদুল আযহার সময়ে রাউজানের পতিটি এলাকায় গরু, ছাগল, মহিষ জবাই করে কোরবানি দেওয়া হয়। কোরবানীর ঈদের দিনে কোরবানীর পশু জাবাই করে মাংস প্রক্রিয়াজাত করার পর, প্রতিটি এলাকায় কোরবানীর পশুর মাংস রান্না করে ফাতেহা দেওয়ার পর প্রতিবেশী ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক নারী পুরুষকে ডেকে ঘরের বারান্দায় ও ঘরের মধ্যে পাঠি বিছিয়ে কোরবানীর পশুর রান্না করা মাংস বাটিতে করে দিয়ে কোরবানীর আগের দিন চাউলের গুড়া দিয়ে তৈয়ারী করা রুটি পিঠা খাওয়ানো হয়। এসময়ে কোরবানী দাতা ও তার পরিবারের সদস্যরা খেয়ে আনন্দে মেতে উঠে।
গত কয়েক বৎসর ধরে কোরবানীর ঈদের দিনে চাউলের গুড়া দিয়ে তৈয়ারী করা রুটি পিঠা রাউজানের কিছু কিছু এলাকায় তৈয়ারী করা হলে ও অধিকাংশ এলাকায় চাউলের গুড়া দিয়ে রুটি পিঠা তৈয়ারী করা হয়না। ময়দা দিয়ে ঘরের মধ্যে পরাটা তৈয়ারী ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকার হোটেল রেস্তোরায় তৈয়ারী করা পরাটা ক্রয় করে এনে রান্না করা কোরবানীর পশুর মাংস দিয়ে পরাটা খাওয়া হয়।
এছাড়া ও আত্বিয় স্বজনদের বাড়ীতে রান্না করা কোরবানীর পশুর মাংস ও পরাটা নিয়ে যায় লোকজন। কোরবানীর ঈদে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল রেস্তোরায় পরাটা তৈয়ারীর ধুম পড়ে। কোরবানীর আগের দিন রাত থেকে কোরবানীর দিন ও কোরবানীর ঈদের এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে হোটেল রেস্তোরায় ও চায়ের দোকান গুলোতে পরাটা তৈয়ারীর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় হোটেল রেস্তোরা চায়ের দোকানের মালিক ও কারিগরদের।
রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশনের আজমীর হোটেলের মালিক তসলিম উদ্দিন বলেন, কোরবানীর ঈদের চান্দ রাত থেকে কোরবানীর দিন ও কোরবানীর পরদিন ১৮ জুন মঙ্গলবার অর্ধলক্ষ পরাটা তৈয়ারী করে বিক্রয় করেছি । প্রতিটি পরাটা ১০ টাকা করে বিক্রয় করা হয়েছে।
রাউজানের হিংগলা এলাকার এক গৃহিনী কামরুন নাহার বলেন, কোরবানীর সময়ে চাউলের গুড়া দিয়ে তৈয়ারী করা রুটি পিঠা তৈয়ারীর প্রচলন কমে গেছে। কোরবানীর ঈদে রান্না করা কোরবানীর পশুর মাংস রুটি পিঠার পরিবর্তে পরাটা দিয়ে খাওয়ার হিড়িক পড়েছে ।