রাউজানে পুলিশ থেকে একজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে জনতা
শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজানে নেশাগ্রস্ত পুত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন অতিষ্ট পিতা মাতা। ১২জুন বুধবার বিকালে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের গুচ্ছ প্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গৃহহীন পরিবার হিসাবে সরকারের আবাসন প্রকল্পে গত দেড় বছর ধরে বসবাস করছেন তাজুল ইসলাম ও জাহানারা বেগম দম্পতি। তাদের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে আরিফুল ইসলাম, আয়ুব আলী ও মেয়ে আমেনা বেগম। এর আগে তারা থাকতেন নগরীর ব্রম্মা কলনীতে। সেখানে নেশার জগতে প্রবেশ করেন একপুত্র আয়ুব আলী। নিষিদ্ধ মাদক ‘আইস’ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সবসময় লেগে থাকত মারামারি ও মাতলামীতে। সংসাওে চলতে থাকে নানা অশান্তি।
এই পরিস্থিতিতে তাজুল ও জাহানারা দম্পতি একটু সুখ ও শান্তির জন্য খুঁজতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এক লাখ টাকার বিনিময়ে লোকমান নামে এক ব্যক্তি থেকে কদলপুর গুচ্ছ গ্রাম আবাসন প্রকল্পে ক্রয় করেন একটি ছোট পরিসরের একটি বাড়ি। এ দম্পতির বিশ্বাস ছিল ছেলে মাদক ছেড়ে স্বাভাভিক জীবনে ফিরে আসাবে নতুন করে। কিন্তু সব আশা বিফলে গিয়ে পুত্র আয়ুব আলী হয়ে উঠে আরো বেপোরোয়ায়। শুধুকি পরিবার তার জন্য অতিষ্ঠ পুরো সমাজ।
গত ১০ জুন নেশাগ্রস্ত আয়ুব মাতাল অবস্থায় নিজের শরীরে নিজে ব্লেড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকার লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করে। উল্টো ধারালো দা দিয়ে আক্রমন চালায় সেই। এলাকার লোকজন এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্তসহ পুরো পরিবারকে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে ছোট ভাইসহ এলাকার ৬/৭জনকে অভিযুক্ত করে রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ছোট বোন আমেনা বেগম। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নেশাগ্রস্ত ভাইকে আটক করে চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে সেই মারমূখি আচরণ শুরু করে আবসন প্রকল্পে। এ অবস্থায় ছোট বোন আমেনা বেগম স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবিহিত করেন সর্বশেষ পরিস্থিতি। সংসদ সদস্য তাৎক্ষণিক পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
থানা পুলিশের এস আই শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নেশাগ্রস্তসহ স্থানীয় হারুণ নামে একজনকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তুলেন। হারুণকে আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে হারুণকে ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে নেশাগ্রস্ত আয়ুব আলীও পুলিশ ভ্যান থেকে পালিয়ে যায়। সেই পালিয়ে পূনঃরায় নিজ গৃহে দরজা বন্ধ করে নিজের শরীরে ছুরি আঘাত করতে থাকে। পুলিশ তাকে ঘর থেকে বের হতে নানা আকুতি মিনতি করতে থাকে প্রায় ঘন্টাকানিক ধরে। সেই ভিতর থেকে আত্মহত্যার করবে বলে পুলিশকে বলতে থাকে। পুলিশ অনেক বুঝানোর পরও সেই তার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে নাই। পুলিশ পিছু হটে গাড়ির দিকে চলে যায়। পুলিশ চলে গেছে ভেবে আয়ুব আলী ঘর থেকে বের হয়। বের হলে স্থানীয় লোকজনে সহযোগিতায় তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ রির্পোট লেখা পষর্ন্ত ছিনিয়ে নেওয়া হারুণকে পুলিশ আটক করতে পারে নাই।