শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
উপজেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন রাউজানের ইউএনও। সোনার বাংলা গড়ায় প্রত্যয়ে ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখায় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৪ পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও অংগ্যজাই মারমা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ সম্মাননা প্রদান করেন। সততা ও নৈতিকতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এপিএ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিলক্ষ্য বাস্তবায়নে দক্ষতাসহ মোট ১০টি মূল্যায়ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে চলতি বছর এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তার এই অর্জনে তিনি রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার প্রকল্প সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া, উপজেলায় কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকল্পে কৃষকের হাট স্থাপন, ভাসমান শ্রমিকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে লেবার শেইড নির্মাণ, রাউজানের ডাবুয়ার বেগুনকে জিআই পণ্য হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করাতে নানামুখি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।
এরআগে অংগ্যজাই মারমা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকালীন সময়ে প্রায় ১৫ একর খাস জমি উদ্ধার করেন এবং সেখানে ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেন। এছাড়াও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ৫০০টির অধিক আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করে মোট ৬৬১টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দিয়ে এই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন