শফিউল আলম, রাউজানঃ
গত ১৪ অক্টোবর সোমবার ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়া- র প্রবর্তক নুরুল আলম গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র ভ্রাতুষ্পুত্র গাউসুল আজম বিল বিরাসাত হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (কঃ) প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারী কেবলা কাবা’র মহান বার্ষিক খোশরোজ শরীফ এবং হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র প্র-পৌত্র মারজাল বাহারাইন, বিশ্ব অলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এবং তাঁর জেষ্ঠ্য কন্যা শাহজাদী সৈয়দা জেবুন্নাহার বেগম-এর চাহরাম শরীফ মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিল এ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মিলাদ-কিয়াম শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন,রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)।
তিনি দেশ-জাতি-উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করে আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা র দরবারে ফরিয়াদ করেন।
মুনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সদ্য অনুষ্ঠিত শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সকল মুসলমানদের পক্ষ হতে, ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়া-র সকল অনুসারীদের পক্ষ হতে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। তিনি সকলে যাতে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীন ভাবে- সম্মানের সাথে উদযাপন করতে পারে, পারস্পরিক একটি ভ্রাতৃত্ববোধের ভেতর দিয়ে, যাতে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধের ভেতর দিয়ে, পরস্পরের মতামতের-বিশ্বাসের-শ্রদ্ধা বোধের ভেতর দিয়ে, আমরা যাতে এই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে পারি,
যার যার প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান যাতে যথাযথ ভাবে প্রত্যেকে লাভ করতে পারে তার জন্য পরম করুণাময়ের দরবারে ফরিয়াদ পেশ করেন।
মিলাদ-কিয়াম-মুনাজাত শেষে আগত অগণিত আশেক,ভক্ত,
জায়েরীণদের তবাররকাত হিসেবে ফলারাদি এবং নেয়াজ পরিবেশন করা হয়।