শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজানে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীসহ চার আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
রাউজান থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. মোরশেদুল আলম (৪৮) ও পরোয়ানাভুক্ত আসামীকে মো. রফিক (৫২)কে গ্রেপ্তার করা হয়। মোরশেদ রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের মধ্যম কদলপুর গ্রামের মৃত হাজী জাহির মিয়ার ছেলে এবং রফিক চিকদাইর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে।
এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৩টায় রাউজানে দুই বখাটে ইভটিজিং করায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নস্থ বদুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দুইজনকে ৭দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই বখাটে হলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব সরফভাটা গ্রামের খায়ের আহমেদের ছেলে আবু ছালেক (৩২) ও একই এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো. ইয়াছিন (১৮)। স্থানীয় সূত্র মতে, বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে স্কুল ছুটি শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে হাটাহাজরীর কুয়েশের বাড়ি ফিরছিলেন এক স্কুল ছাত্রী। ওই অটোরিকশায় আরও এক শিক্ষক থাকলেও তিনি নেমে যাওয়ার পর অটোরিকশাটি রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নস্থ বদুপাড়া এলাকা অতিক্রম করার সময় ইয়াছিন নামে এক বখাটে ওই শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেয়। ওই ছাত্রী সিএনজি অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গাড়িটি আটকিয়ে দুইজনকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দুই বখাটে তাদের দোষ স্বীকার করলে দুইজনকে ৭দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা এ দণ্ডাদেশ দেন।
তিনি বলেন, স্কুলছাত্রী গাড়ি থেকে লাফ দেওয়ার পর স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই বখাটেকে আটক করে। ইভটিজিং এর দায়ে দুইজনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুবুর রহমান বলেন, ইভটিজিং এর দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।