শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ফকিরহাটের উত্তর পাশে অন্তত ১০ গ্রামের পানি চলাচলের একমাত্র পথ পুরাতন কাঁশখালি খাল। এই খালটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে একাধিক স্থাপনা।
স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও অবৈধ স্থাপনা তৈরিকারী জনৈক দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হওয়ায় ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে উত্তেজিত জনতা উচ্ছেদ করেন।
এসময় খালের পানি চলাচলের পথে তৈরি করা একটি দেয়াল গুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। স্থানীয় মো. নাছির বলেন, যেভাবে খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
মো. আলী ও গিয়াস উদ্দিন নামে আরও দুই ব্যক্তি বলেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি দুর্ভোগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাউজান পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল রহিম আজম। তিনি বলেন, রাউজানের অন্তত ১০ গ্রামের পানি চলাচলের একমাত্র পথ পুরাতন কাঁশখালি খালটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে একাধিক ব্যক্তি পাকা স্থাপনা তৈরি করেছে। উত্তেজিত জনতা একটি দেওয়াল গুড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, আরো কয়েকজন ব্যক্তি পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে স্থাপনা করেছেন। সেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরী। আমি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের পক্ষে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাবো দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা (সহকারি কমিশনার ভূমি) ও পৌর প্রশাসক. রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে কেউ নির্মাণ কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ছুটিতে আছি উত্তেজিত জনতা সীমানা প্রাচীন ভাংচুরের কোন ঘটনার সংবাদ এখনো পায়নি।’