আজ , শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রাউজানে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে কৃষক ছগির আহমদের ভাগ্যবদল

লেখক : সাহেদুর রহমান মোরশেদ | প্রকাশ: ২০২৫-১০-২৩ ০০:৩৫:৩৯

॥নেজাম উদ্দিন রানা॥

চট্টগ্রামের রাউজানে পতিত জমিকে পুঁজি করে ভাগ্য বদলেছেন এক পরিশ্রমী কৃষক। অনাবাদি জমিকে কাজে লাগিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন শরীফপাড়া গ্রামের ছগির আহমদ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ‘অনাবাদি, পতিত জমি এবং বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন (ইফনাপ)’ প্রকল্পের আওতায় ছগির আহমদ ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। প্রকল্পের অধীনে তাকে একটি কমিউনিটি বেইজড প্রদর্শনী স্থাপন করে দেওয়া হয়, যেখানে ভার্মি কম্পোস্ট পিট, ১০টি রিং, ৪টি হাব এবং একটি মেকানিকাল সেপারেশন মেশিন সরবরাহ করা হয়।

নিজ বসতভিটায় পতিত জমিতে কম পরিশ্রমে ছগির আহমদ এখন মাসে প্রায় ৩৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করছেন। এতে করে তিনি মাসে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করছেন, যা তার পরিবারের সুখ-শান্তির জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

তিনি জানান, আগে কৃষিকাজে জৈবসারের জন্য তাকে বাড়তি খরচ করতে হতো। এখন নিজের উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে সেই চাহিদা পূরণ করছেন এবং স্থানীয় কৃষকদের কাছেও কেজি প্রতি ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ফলে এলাকার কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন।

ছগির আহমদ আরও বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গোবরের চাহিদা পূরণে তিনি গবাদিপশু পালন শুরু করেছেন। এতে করে গোবরের পাশাপাশি দুধ বিক্রি করেও বাড়তি আয় হচ্ছে।

শরীফপাড়া আইপিএম কৃষক গ্রুপের মাধ্যমে এই প্রকল্পে সরাসরি উপকারভোগী হয়েছেন ৪০ জন কৃষক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাসুম কবির বলেন, “ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে জৈব সার ব্যবহারে আমরা কৃষকদের সবসময় উৎসাহিত করি। ছগির আহমদ এই প্রকল্পে সফলভাবে যুক্ত হয়ে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তার সাফল্য দেখে অনেকেই ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।”

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে আরও বেশি কৃষককে সম্পৃক্ত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। জৈব সার উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।