আজ , রোববার, ২৮ মে ২০২৩

রাউজানের ডাবুয়ায় সিএনজি চালক জাহেদের রহস্যজনক মৃত্যু

লেখক : সাহেদুর রহমান মোরশেদ | প্রকাশ: ২০২৩-০৫-২১ ০০:৩৩:৩১

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ

রাউজানের ডাবুয়ায় সিএনজি চালক জাহেদুল আলমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হাসান খীল এলাকার মোহাম্মদ ইয়াসিনের পুত্র সিএনজি চালক জাহেদুল আলম তার পিতা মোহাম্মদ ইয়াসিন ও মাতা জাহানারা বেগমের সাথে গত ১৭ মে বুধবার বিকালে বসতভিটা থেকে শাক তুলে রান্না করা নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ারার এক পর্যায়ে জাহেদুল আলমকে তার স্ত্রী শাকি আকতার আড়াই বৎসর বয়সের কন্যা সন্তান কে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তার পিতা মোহাম্মদ ইয়াসিন।

 

এঘটনার পর গত বুধবার রাতে ঘরের পেছনে বারান্দায় বাশের চালার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে জাহেদুল আলম আর্ত্নহত্যা করার প্রচেষ্টা চালায়। ঐ সময়ে পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাকে ফাসিঁ থেকে নামিয়ে ফেলে। মারাত্বক আহত অবস্থায় জাহেদুল আলম (২৫) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

 

২০মে শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজি চালক জাহেদুল আলম হাসপাতালে মৃত্যু হয়। জাহেদুল আলমের স্ত্রী শাকি আকতার বলেন, গত বুধবার বিকালে বসতভিটা থেকে শাক তুলে রান্না করায় আমার শ্বাশুড়ী জাহানারা বেগম আমাকে গালি দেয়। রাতেই আমার স্বামী ঘরে আসলে তাকে ও গালি দেয়। আমার শ্বাশুড় আমার স্বামীকে আমাকে ও আমার কন্যা সন্তান নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে। ঐদিন রাতে ঘরের পেছনে বারান্দায় গলায় রশি দিয়ে আমার স্বামী আত্নহত্যা করার প্রচেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা দেখে তাকে ফাসির রশি থেকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জাহেদুল আলম এর স্ত্রী শাকি আকতারের আড়াই বৎসর বয়সের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে শাকি আকতারের গর্ভে এক সন্তান রয়েছে।

 

এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, পারিবারিক কলহের কারনে জাহেদুল আলম আর্ত্নহত্যা করেছে। জাহেদুল আলমের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে রাউজান থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। গত চার বৎসর পুর্বে সিএনজি চালক জাহেদুল আলমের বোন ও ঐ ঘরে ফাসিতে ঝুলে আর্ত্নহত্যা করে।