আজ , বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাউজানের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরী সহ রাউজানের বিভিন্ন এলাকায়, সেচের পানির অভাব

লেখক : সাহেদুর রহমান মোরশেদ | প্রকাশ: ২০২৩-০৩-১৭ ২৩:৪২:৩২

শফিউল আলম, রাউজানবার্তাঃ
রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের রোয়াইঙ্গা বিল, পুব ডাবুয়া এলাকায় ৬৪ হেক্টর ফসলী জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছে কয়েকজন কৃষক। ৬৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদে অর্ধশতাধিক শ্রমিক বীজ রোপন থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করছে। ডাবুয়ায় ফসলী জমিতে তরমুজের ফলন ভাল হয়েছে। তরমুজ বিক্রয় শুরু করেছে কৃষকেরা। তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদেও জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত ডাবুয়া খাল। ডাবুয়া খালের পানি সেচের মাধ্যমে সরবারাহ করে তরমুজ ক্ষেতে সেচ দেওয়া হতো। প্রচন্ড তাপমাত্রার মধ্যে ডাবুয়া খালে পানি প্রবাহ বন্দ্ব হয়ে যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের কাউখালী উপজেলার পাহাড়ী এলাকা থেকে প্রবাহিত ডাবুয়্ াখাল । ডাবুয়া খালের দু তীরে রাউজানের বৃন্দ্বানবন পুর, বৃকবানপুর, জানিপাথর, উত্তর আইলী খীল এলাকায় খালের মওেধ্য বাধ দিয়ে পানি আটক করে ঐ সব এলাকায় ফসলী জমিতে বোরো ধান সব্জি ক্ষেতের জমিতে সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করছে। পাহাড়ী এলাকা থেকে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় ডাবুয়া খালের উপর এলাকায় খালের মাঝখানে মাটির বাধ দিয়ে যে পরিমান পানি পাহাড়ী এলাকা থেকে খাল দিয়ে নামছে ঐ পানি উপর এলাকার ফসলী জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ ও সব্জি ক্ষেতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। ডাবুয়ায় বিপুল পরিমান ফসলী জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদের জমিতে ডাবুয়া খালে পানি না থাকায় সেচের পানি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তরমুজ চাষীরা। সেচের পানি না পাওয়ায় তরমুজ ক্ষেতে তরমুজের ফলন দেখা দিলে ও তরমুজ বড় হচ্ছেনা।

ডাবুয়ার তরমুজ ক্ষেতে সেচ সংকট নিরসনে রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে গতকাল ১৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কামরুল হাসান বাহাদুর ডাবুয় খালের উপরের অংশের বাধ পরিদর্শন করেন। ডাবুয়া খালের উপরের অংশে দেওয়া বাধ পরিদর্শন করেন ডাবুয়া খালের উপরের অংশে যারা বাধ দিয়ে বোরো ধান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করছেন তাদের ডাবুয়ায় তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদের জন্য বাধে আটকানো পানি থেকে পানি দিতে অনুরোধ করেন।

ডাবুয়ার রোয়াই্গংবিল এলাকায় তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ কারী কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ১৬ একর জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছি। গত দুইদিন থেকে তরমুজ ক্ষেত থেকে কাভার্ড ভ্যানে করে দু কাভার্ড ভ্যান ভতি তরমুজ চট্টগ্রম নগরীতে বিক্রয় করার জন্য নিয়ে যায়। দু কাভার্ড ভর্তি তরমুজ বিক্রয় করে ৩ লাখ টাকা পাবো বলে আশা করছি। সেচের পানির আভাবে তরমুজ ক্ষেতের মধ্যে তরমুজ বড় হচ্ছেনা। বৃষ্টি হলে অথবা ডাবুয়া খালের পানি আসলে তরমুজ ক্ষেতের ফলন বাড়বে। বৃষ্টি না হলে ও ডাবুয়া খালে পানি প্রবাহ পাওয়া না গেলে আমি সহ যারা তরমুজ ক্ষেত করেছে তারা বিপুল পরিমান লোকসানের বোঝা বইতে হবে।